বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত শিশু ও কিশোরপাঠ্য বই নিয়ে আলোচনা । Reviews of books for children and young adults published in Bangla and English
Ichchhamoti Logo
গাছেরা গেল বেড়াতে | অনিতা অগ্নিহোত্রী । নৈর্ঋত প্রকাশন
গাছেরা গেল বেড়াতে
বিভাগ । Category গল্প, গল্প সংকলন । Story, Collected Stories
প্রচ্ছদ শিল্পী । Cover Designer দেবাশিস রায় | Debashis Ray
অলংকরণ শিল্পী । Illustrator(s) দেবাশিস রায় | Debashis Ray
প্রকাশক । Publisher নৈর্ঋত প্রকাশন । Nairit Prakashan
প্রকাশ । Published in 2023
সংস্করণ । Edition প্রথম সংস্করণ । First Edition
বাঁধাই । Format হার্ডকভার । Hardcover
ভাষা । Language বাংলা । Bengali/Bangla
ISBN 978-81-961187-6-1
মূল্য । Price (₹) 190.00

আচ্ছা, গাছেরা যদি হঠাৎ বেড়াতে যেতে চায়? কিংবা চলতে চলতে ট্রেন থেকে দাঁড়িয়ে থাকে জলের মধ্যে? দূর দ্বীপ থেকে নৌকায় আসেন কারো পিসিমণি? ছোট্ট কুকুর চিমনির দুষ্টুমি গোমড়া মুখে হাসি আনবে নিশ্চয়ই! শাপলাখালি গ্রামে সেই সবুজ বাড়ি? কী হল তার শেষে? বইতে আছে দশটি তরতাজা নতুন গল্প, যার শেষেরটা একটু বড় সড়। হবেই। কারণ, আকিম আর তার দাদা বুয়াম জঙ্ক নদীর জলে ডোবা দুনিয়া দেখতে গিয়ে আরো কত কিছু যে খুঁজে পেল, সুনাবেড়া মালভূমি, হালুক দাদু, বুড়ো কুমীর সিন্ধুকুমার কেও — শেষে ফিরে এল মা, বাবা, বোন কুরুমের কাছে। মন ভালো করা সোনার কাঠি এই বই।

Approximate Read Time: 7 mins

২০২৩ সালে প্রকাশিত গল্প সংকলন 'গাছেরা গেল বেড়াতে'-র শুরুতে অনিতা অগ্নিহোত্রী লিখছেন, ' আমি ভালোবাসি নদী পাহাড় মাঠ বন দেখতে, সেখানে যারা থাকে সেই সব মানুষ আর তাদের বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েদের কথা। যখন কোন নতুন জায়গায় যাই, সেখান থেকে নতুন কোন গল্প নিয়ে আসি, বাংলা বই যারা পড়তে ভালোবাসে, সেই ছোটদের জন্য।...কত লড়াই করে বাঁচে মানুষ, তবু তারা ভালোবাসতে ভোলেনি অচেনা মানুষদের, পশু পাখি লতা পাতা গাছ প্রজাপতিদের। ...'

তাঁর এই ভাবনাটি প্রতিফলিত হয় এই বইয়ের প্রতিটি গল্পে, যেগুলি বলে অজানা দেশ আর অচেনা মানুষদের কথা। প্রখর গ্রীষ্মে তপ্ত চুল্লির মত ঝলসানো দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে বঙ্গোপসাগরের তীরে শঙ্খকোণা বা কালিন্দী গ্রাম বা মহানদীর ওপর মার্জাকুদ দ্বীপ; ওলন্দাজদের আনা বাওবাব গাছেদের বাসভূমি মাদুরডিহার বন; বা সবুজে ঘেরা শাপলাখালি গ্রাম থেকে লেপার্ড আর হরিণদের দেখা পাওয়া যায় যেখানে, সেই মুম্বইয়ে্র ইন্‌স্টিট্যুট — লেখকের হাত ধরে ঘুরতে ঘুরতে চলে যাওয়া যায় এ দেশের নানা প্রান্তে, চেনা বা অচেনা বাসভূমির পটভূমিতে বেড়ে ওঠে এই বইয়ের গল্পগুলি। ঘুরে ফিরে আসে বাংলার বাইরের, ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মানুষের আর পশুপাখি, এমনকী গাছপালাদেরও জীবনের গল্প ।

এই বইয়ের গল্পগুলির মধ্যে আশ্চর্য সব মানুষের দেখা মেলে । যেমন 'দ্বীপবাসিনী' গল্পে মহানদীর মাঝে মার্জাকুদ দ্বীপের বাসিন্দা দোয়েলের পিসিমণি, যিনি নিজের চেষ্টায় আর জেদে সেই দ্বীপে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অঙ্গনবাড়ী, সেকেন্ডারি স্কুল খোলাতে পেরেছেন। তিনি সেখানে পাঁচশো ঘর তাঁতের কারিগরের জীবিকার ব্যবস্থা করেছেন, নিজে তাঁতে কাপড় বুনতে শিখে চাদর, শাড়ি, গামছা বুনে বিক্রি করতে শিখেছেন আর শিখিয়েছেন। বা 'বুধবারের হাটে' গল্পে তিতলির বনবিহারী দাদু, যার চোখে দেখার সমস্যা থাকলেও, ' সে কাজে এত চটপটে আর নাড়ী নক্ষত্রের খবর জানে, যে দুটো চোখওলা লোকজনও তাকে সমঝে চলে।' তার চোখের অসুবিধা থাকা সত্বেও তিতলির বাবা হারিয়ে যাওয়ার পরে সে তিতলি আর তার মা’কে সাহায্য করতে উপস্থিত হয়। বা 'আসা-যাওয়ার গল্প'- তে অবুর কাকা সদানন্দ, যে সাগরে নৌকা চালায়, আর যখন সেই কাজ বন্ধ থাকে, তখন বনবিভাগের হয়ে উপকূল পাহারা দেয়, চোরাশিকারী ধরতে সাহায্য করে। তাদের গ্রামে যদি কেউ বাইরে থেকে আসেন, তাদের একটু ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেয়, কারণ ' বাইরের লোকজন যত নিজের চোখে দেখবেন, তত মায়া মমতা বাড়বে তাদের মনে।' কিংবা 'আকিম ও জঙ্ক নদীর দেশ' গল্পে আকিমের ভূগোল স্যার জগদীশ গুরু মশাই, যিনি চুল আঁচড়াতে ভুলে যান প্রায়ই, কিন্তু খুব ভালো ছবি আঁকেন আর আকিমকে মানুষের অতিবৃদ্ধ বন্ধু কুমির সিন্ধুকুমারের খোঁজ দেন।

প্রকৃতির প্রতি সংবেদনশীলতা, পশুপাখিদের প্রতি সহমর্মিতা আর মানুষের সঙ্গে প্রকৃতি ও অন্যান্য জীবজগতের এক সমন্বিত সহাবস্থানের কথা ঘুরে ফিরে আসে গল্পগুলিতে। 'গাছেরা গেল বেড়াতে' নামের গল্পে যেমন রয়েছে, মানুষের দেখাদেখি এক জায়গায় নিশ্চল হয়ে থাকতে অভ্যস্ত গাছেদের বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছেপূরণ এবং সেইসঙ্গে আসা সমস্যার কথা — ঠিক তেমনই ভোরের নরম আলোর মত,ছোটোদের মনে গাছ বাঁচানো এবং বন সংরক্ষনের বার্তাটিও ছড়িয়ে গিয়েছে । আবার 'খুদে মেঘের যত কান্ড'-তে গল্পে গল্পে উঠে আসে দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন নদ-নদী,  অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, চাষের জলের জন্য বৃষ্টির ওপর নির্ভরতা, পরিষ্কার পানীয় জল না পাওয়ার সমস্যা, জল সংরক্ষণের কথা। এই গল্পে খুদে মেঘ তার মাস্টারমশাইয়ের কাছে যে সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়, সে সব প্রশ্ন তো চিরকালের জরুরী। 'আকাশের জলের আবার বেশি কম কেন?’ কেন একই সময়ে এক জায়গায় বেশি বৃষ্টি আর আরেক জায়গায় কম? — এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বসি খুদে মেঘ আর তার মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে আমরাও। 'ব্রুনোর বাড়ি ফেরা' গল্পে, কোভিডের কারণে নিজের পালক পরিবারকে হারানো কুকুর ব্রুনোকে নিজেদের বাড়ি নিয়ে আসতে পারে কিশোর শঙ্খ। ' আজ ব্রুনো দেখে এসেছে, ওর পুরনো বাড়িতে যাওয়ার পথ বন্ধ, ও নিশ্চয়ই বুঝেছে, অন্য লোকেরা আসছে, চৌধুরীরা আর ফিরবে না। কেবল খাওয়া পরা আশ্রয়ের বাইরে একজন প্রাণীর কত মায়া থাকে, মনে পড়া, সেসব কোনওদিন জানতে পারবেনা শঙ্খ...' — তবুও সে ব্রুনোর সঙ্গে নতুন ভাবে বন্ধুত্বের চ্যাপ্টার শুরু করার কথা ভাবে। 'শাপলাখালির সবুজ বাড়ি' সামাজিক সহযোগিতা আর আর নিজের তুলনায় দুর্বল মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকার গল্প বলে।

আজকের ছোটোরা না কি শুধুই  নানা স্বাদের রহস্য রোমাঞ্চে ভরা অভিযান , কিংবা ফ্যান্টাসি বা থ্রিলার পড়তে পছন্দ করে — এমনই শুনতে পাই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই বইতে তেমন চেনা ছকে বাঁধা কোনো রহস্য রোমাঞ্চে ভরপুর অভিযানের গপ্পো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যাবে না কি? এই যে আমাদের প্রতিদিনের জীবন, সে কি কম রহস্য রোমাঞ্চে ভরা? কম উত্তেজনার? তা বোধহয় নয়। কাল্পনিক অভিযান বা গোয়েন্দা গল্পের মণি-মানিক্য খুঁজে পাওয়ার মতই সমান উত্তেজনা দিতে পারে জীবনের গল্প, প্রতিকূল প্রকৃতির মাঝে বেঁচে থাকার গল্প। যেমন 'জলের মধ্যে ট্রেন' গল্পে মুম্বই থেকে কাছেই এক জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার সময়ে যশেদের ট্রেনটা মাঝপথে থেমে যেতে বাধ্য হয়, কারণ সামনে লাইন বৃষ্টির কারণে জলে ডুবে গেছে। এমনটা যে হবে সে তো আগে জানা ছিল না! চারদিকে গেরুয়া জলের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে যথেষ্ট খাবার বা পানীয় জল ছাড়া আটকে থাকা আর শেষ অবধি এন ডি আর এফ এর সাহায্যে উদ্ধার পাওয়া — এ তো যে সে অ্যাডভেঞ্চার নয়, একেবারে ‘ অ্যাডভেঞ্চারের ঠাকুর্দা — সত্যিকারের বিপদ!’ কিংবা,  'আসা-যাওয়ার গল্প'- তে অলিভ রিডলে মা কাছিমদের ডিম পাড়ার আর  ছানাদের ডিম ফুটে বেরিয়ে সমুদ্রে ফিরে যাওয়ার দৃশ্য!  পরম মমতায় অলিভ রিডলে মা কাছিমদের ডিম পাড়ার বর্ণনা দেন লেখক, '... সামনের দুই পাখনা দিয়ে নিজের শরীরটুকু রাখার মত গর্ত করে মা কাছিম। পিছনের দুটো দিয়ে সাড়ে তিন ফুট মত গভীর একটা গর্ত করে, তাতে ডিম পাড়ে। ষাট থেকে দুশোটা ডিম একটা গর্তে। সাদা গোল গোল নরম আর পিছল একটা ডিম। কত যত্নে মা কাছিম তার ডিমগুলিকে বালি দিয়ে ঢেকে দেয়, যাতে আকাশের উড়ন্ত চিল বা বাজ, মাটির শেয়াল, কুকুর, মানুষ কেউ তাদের নাগাল না পায়। আড়াই তিন ঘন্টা। ওইটুকু সময় তাদের ডিম পাড়া আর ডিমগুলি ঢেকে রাখার কাজ। সমুদ্রবেলায়। তারপর মা কাছিমরা আবার সমুদ্রে। সমুদ্র জলেই কাটে তাদের পুরো জীবনটাই।...' এই গল্পের শেষে বঙ্গোপসাগরের ধারে ঋষিকূল্যা নদীর মোহনায়, কালিন্দী গ্রামের ছোট্ট ছেলে অবু তার শহরবাসী সন্দীপ কাকাকে ভিডিও কলের মারফত দেখায় সদ্য জন্মানো কাছিমদের ফিরে যাওয়ার পথের ছবি। '...তীরের বালির উপর যেন সূক্ষ্ম তুলি দিয়ে আঁকা অজস্র রেখা। আগেও এমন ছবি দেখেছে সন্দীপ। সে বুঝতে পারছে, এগুলি সদ্য জন্মানো কাছিমদের পায়ের দাগ...।' — এও তো মা কাছিমদের আর সদ্যোজাত ছানাদের আলাদা আলাদা অভিযানেরই গল্প। 

এই সংকলনের অপেক্ষাকৃত বড় গল্প ‘আকিম ও জঙ্ক নদীর দেশ’। বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার নওয়াপাড়া জেলার পটভূমিতে লেখা এই গল্পে দুই ভাই আকিম আর বুয়ামের সঙ্গে সঙ্গে পাঠকও পরিচিত হয় এই এলাকার ইতিহাস, ভূগোল, অতিকথা, আদিবাসী জনজাতি, ধর্মাচরণ, চাষাবাদ, নদনদী — এক কথায় এই অঞ্চলের ইতিহাস এবং ভূগোলের সঙ্গে, অতীত  ও বর্তমানের সঙ্গে । আকিমের ভূগোল স্যার যে বলেছিলেন  'ভূগোল মানেই ইতিহাস, তা লেখা থাক বইতে কিংবা মানুষের মুখে ফিরুক।’ — সেই কথাই যেন সত্যি হয় এই কাহিনিতে। কর্মসূত্রে এই অঞ্চলে বহুদিন কাটিয়েছেন বলেই অনিতা অগ্নিহোত্রীর কলমে ছবির মত ফুটে উঠেছে সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সাধারণ মানুষের কথা। একই সঙ্গে এই কাহিনির মধ্যেই আলতোভাবে উঠে এসেছে দেশের মানুষের তথাকথিত উপকার বা উন্নতিকল্পে সরকারি সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে উঠে আসা বহুচর্চিত বিষয়গুলি। ‘বাঁধ কেন দেয় নদীতে? একটা নদী আপন মনে বয়ে যাচ্ছে তাকে থামিয়ে দেওয়া কি ভালো?’ — এই প্রশ্নের উত্তরে বাঁধ দেওয়ার সপক্ষে যেমন যুক্তি দেন আকিমের বাবা, তেমনই তার বিরোধিতা করেন বাঁধের জলে ঘরবাড়ি- জমিজিরেত তলিয়ে যাওয়া ভোলানাথকাকা। নিজের পূর্বপুরুষের বাসভূমি থেকে কিছু মানুষের বাধ্যতামূলক উৎখাত হওয়া এবং তার পরে তাঁরা যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে থাকেন, সে ক্ষতির অনুপাতে তাঁদের এবং অন্যান্যদের প্রকৃত অগ্রগতি কতটা হয়, সে বিষয়ে ছোটোদের সঙ্গে বড়োদের মনেও প্রশ্ন জাগে। তথাকথিত ‘উন্নততর’ কিছু পাওয়ার আশায় আমরা পুরনো যা কিছুকে বাতিল বা ধ্বংস করি, প্রকৃতির নিজস্ব ছন্দ ভেঙেচুরে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করি, সেসবের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্ন জেগে ওঠে মনের কোণে। এই বিশ্ব উষ্ণায়নের মধ্যে দাঁড়িয়ে, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন এবং মুঠোফোনে সারা দুনিয়ার খবর বন্দী রাখা নতুন প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীদের জন্য গল্পচ্ছলে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি এই গল্পে তুলে আনার জরুরী কাজটি লেখক সহজেই সম্পন্ন করেছেন।

সহজ ভাষায়, সরল ভাবে, গল্পের মোড়কে জীবন ও দেশ সম্পর্কে ছোটো ছোটো পাঠ দিতে  সক্ষম বিভিন্ন স্বাদের গল্পে ভরা বই ‘গাছেরা গেল বেড়াতে’। আকিমের ভূগোল মাস্টারমশাই ‘বলেন ওদের বাড়ীর কাছাকাছি যে পৃথিবীটা আছে সেটা ঘুরে দেখতে। …তাই নিজেদের মত করে ঘুরে বেড়ায় আকিমরা। … বুঝতে পারে পৃথিবীর রূপ তৈরী হয়েছে কেবল এখনকার মানুষের হাতে নয়,  অনেক না লেখা ইতিহাস, পুরোনো গল্প আছে তার মধ্যে…’। আকিম আর বুয়ামের কিংবা বেড়াতে যেতে যাওয়া  অল্পবয়সী গাছেদের বা খুদে মেঘের মতই, দেশ ও জীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী কিশোর-কিশোরীদের দেওয়ার জন্য উপযুক্ত উপহার এই বই। 

বইটির প্রচ্ছদ এবং অলংকরণ করেছেন দেবাশিস রায়।  প্রকাশ করেছেন নৈর্ঋত প্রকাশন। সামান্য কিছু মুদ্রন প্রমাদ চোখে পড়েছে। এমন ভালো একটি বইতে সেগুলি না থাকলেই ভালো। আশাকরি পরবর্তীকালে সেগুলি শুধরে নেওয়া হবে।